দেশ গার্মেন্টসের ৫৯ হাজার শেয়ার ছাড়ল টুটেলার অয়েল
![দেশ গার্মেন্টসের ৫৯ হাজার শেয়ার ছাড়ল টুটেলার অয়েল](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/6422/news_336125_1.png)
পূর্ব ঘোষণা অনুসারে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দেশ গার্মেন্টস লিমিটেডের ৫৯ হাজার ২৪টি শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে টুটেলার অয়েল সার্ভিসেস কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড। এর মধ্যে ৪৫ হাজার ২৪টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল মার্কেটের মাধ্যমে ও ১৪ হাজার ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে। ডিএসইর বিদ্যমান বাজারদরে এসব শেয়ার লেনদেন হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। উল্লেখ্য, দেশ গার্মেন্টসের চেয়ারম্যান রোকেয়া কাদের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওমর কাদের খান ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদ্যা অমৃত খান একই সঙ্গে টুটেলার অয়েল সার্ভিসেসেরও চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের পথিকৃৎ কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে আসে ১৯৮৯ সালে। এর অনুমোদিত মূলধন ১০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮২ লাখ ৮৮ হাজার ৩৪২। এর মধ্যে ৫৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কাছে ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও বাকি ৪১ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।ডিএসইতে গতকাল দেশ গার্মেন্টসের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১১৪ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে এ শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা ও সর্বনিম্ন ১৮০ টাকায়।সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশ গার্মেন্টসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৯ পয়সা। আর সর্বশেষ দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৫ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১১ পয়সায়। সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে দেশ গার্মেন্টস। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ পয়সা। যেখানে এর আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ৪০ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৯ টাকা ৪৫ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৯ টাকা ৭০ পয়সায়।৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আগে ২০১৯-২০ হিসাব বছরে ৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় তারা। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এছাড়া ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিল কোম্পানিটি।