চুক্তিভিত্তিক গ্লাস অ্যাম্পুল উৎপাদনে যাচ্ছে ফার্মা এইডস

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ফার্মা এইডস লিমিটেড বেসরকারি একটি কোম্পানির সঙ্গে চক্তিতে গ্লাস অ্যাম্পুল উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।কোম্পানিটির বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় গ্লাস অ্যাম্পুলের চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।কোম্পানিটি জানিয়েছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস পরীক্ষামূলকভাবে চুক্তি অনুসারে উৎপাদন কার্যক্রম চলবে। সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ফার্মা এইডসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ টাকা ৩১ পয়সা। ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ৪৪ পয়সা।৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে ফার্মা এইডস। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ১৪ পয়সা। যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ টাকা ১১ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য ছিল ৯৮ টাকা ৮৩ পয়সায়। যা আগের বছর শেষে ছিল ৯৩ টাকা ২৬ পয়সায়।১৯৮৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ফার্মা এইডসের অনুমোদিত মূলধন ৫ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩১ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২৩.৫৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫.৬৯ শতাংশ এবং বাকি ৬০.৭২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।ডিএসইতে বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৭৯০ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৭৯০ টাকা ৭০ পয়সা ও ৯৭৩ টাকা।সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৭০.৯৮ এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ১১৮৬০.৫০।