চমক দেখিয়ে ফের অন্ধকারে সোনালী পেপার!

দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইসে ঘুমানোর পর ফেব্রুয়ারিতে চমক দেখিয়েছিল সোনালী পেপারের শেয়ার। সাত কার্যদিবসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফের ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান নিয়েছিল। তারপর চার কার্যদিবস বিশ্রাম নিয়ে আবারো চমক দেখানোর পথে অগ্রসর হয়েছিল। কিন্তু দুই দিনের মাথায় ফের ফ্লোর প্রাইসে স্থান করে নিয়েছে শেয়ারটি।বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইসে ঘুমানোর পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারে হঠাত ঝলক দেখা দেয়। লেনদেনের মধ্যভাগে শেয়ারটি বিক্রেতাশুন্য হয়ে পড়ে। এদিন শেয়ারটি ফ্লোর প্রাইস ৬১৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ দর ৬৬১ টাকায় লেনদেন হয়। তারপরের দুই দিনও শেয়ারটির লেনদেনে বেশ গতি ছিল। এরপর ৭০৩ টাকা ছুঁয়ে ৭ কার্যদিবসের মাথায় শেয়ারটি ফের ফ্লোর প্রাইস ৬১৫ টাকা ১০ পয়সায় স্থিতি নেয়।গত ৫ কার্যদিবস শেয়ারটি ফ্লোর প্রাইসেই আটকে থাকে। গতকাল (মঙ্গলবার) ফ্লোর প্রাইস থেকে ঊর্ধ্বশ্বাসে উপরে উঠে ৬৩৬ টাকা ৬০ পয়সায় ক্লোজিং হয়। আজ (বুধবার) ৬৪৫ টাকায় দর হাঁকিয়ে ফের অন্ধকারের পথে ধাবিত হয়। দিনশেষে শেয়ারটি ফ্লোর প্রাইস ৬১৫ টাকা ১০ পয়সায় ক্লোজিং হয়।অভিযোগ রয়েছে, বছরজুড়ে শেয়ারটি নিয়ে কারসাজিতে মেতেছেন শেয়ারবাজারের সবচেয়ে আলোচিত এক বিনিয়োগকারী। যিনি একজন সরকারি ক্যাডার কর্মকর্তা। তার সঙ্গে বিএসইসির অনেক কর্মকর্তার ব্যবসায়িক যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে কারসাজির অনেক অভিযোগের প্রমাণ মিললেও তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয় না।গত বছরের ২ জুন ওটিসি মার্কেট থেকে উঠে আসা সোনালী পেপার পাবলিক মার্কেটে এসে ২৭৩ টাকায় লেনদেন শুরু করে। তারপর কারসাজি করে শেয়ারটির দর ৯৫৭ টাকার উপরে তোলা হয়। এরপর আকাশে তোলা সেই শেয়ার বিনিয়োগকারীদের গছাতে অবিশ্বাস্য মুনাফা দেখানো হয়। পাশাপাশি আকর্ষণীয় দামে ইস্যু করা হয় রাইট শেয়ারও।বাজারসংশ্লিষ্টরা সোনালী পেপারের শেয়ার থেকে বিনিয়োগকারীদের যোজন যোজন দুরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ শেয়ারটির সঙ্গে যে কারসাজিকারী জড়িত, তার শেয়ারে ঢুকে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী পথে বসেছেন।