ছয় কার্যদিবসে কিছু শেয়ারের দাম ৩০-৫০ শতাংশ কমে গেছে

দেড় বছর পর প্রথম দফায় ২১ জানুয়ারি থেকে ৩৫টি বাদে বাকি সব কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৩ জানুয়ারি থেকে তুলে নেওয়া হয় আরও ২৩ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। যদিও গত তিন কার্যদিবস টানা পতন হয়েছে সূচকের। গতকাল রোববার দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচক কমে ৬ হাজার ৭৯ পয়েন্টে নেমে আসে। আর আজ সোমবার ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৯৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭০টির, কমেছে ১৭৬টির ও অপরিবর্তীত রয়েছে ৪৩টির দর। আজ সোমবার ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ৬৬২ কোটি টাকা।সূচক ছয় হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি নেমে আসায় গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম দিন বাজারে ছিল শেয়ার বিক্রির চাপ। শেয়ারবাজারের একাধিক শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীরা জানান, ২১ থেকে ২৮ জানুয়ারি—ছয় কার্যদিবসে কিছু কিছু শেয়ারের দাম ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। তাতে অনেক কোম্পানির শেয়ার জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেলের আওতায় পড়েছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ফোসর্ড সেল শুরু করায় শেয়ারের দাম আরও দ্রুত কমছে।শেয়ারবাজারে যাঁরা ঋণ করে বিনিয়োগ করেন, তাঁরা নিজেদের বিনিয়োগ করা অর্থের বিপরীতে ঋণদাতা ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঋণ নেন। শেয়ারের দাম কমে গেলে তখন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দেওয়া ঋণ সমন্বয় করতে বিনিয়োগকারীদের ওই শেয়ার বিক্রি করে দেয়। ঋণচুক্তিতে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে এ বৈধতা দেওয়া থাকে। তাই অনেক ক্ষেত্রে শেয়ারের দাম বেশি কমে গেলে তখন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগকারীকে না জানিয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেয়। এটি শেয়ারবাজারে ফোর্সড সেল হিসেবে পরিচিত।শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, ফোর্সড সেল যখন বেড়ে যায়, তখন বাজারে ক্রেতাসংকট দেখা দেয়। বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন নতুন বিনিয়োগও কমে যায়। টানা পতনের কারণে শেয়ারবাজারে এখন সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।