ছাড় দিয়ে দূর্বল চার্টার্ড লাইফকে শেয়ারবাজারে আনছে বিএসইসি

Date: 2022-09-26 03:00:15
ছাড় দিয়ে দূর্বল চার্টার্ড লাইফকে শেয়ারবাজারে আনছে বিএসইসি
ভালো কোম্পানিকে প্রয়োজনে ছাড় দিয়ে শেয়ারবাজারে আনতে চাওয়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মতো দূর্বল কোম্পানিকেও আনছে। যে কোম্পানিটি দীর্ঘদিন লোকসানে ছিল। এরমধ্যে গত বছর মুনাফায় ফিরলেও তার অবস্থা খুবই নাজুক। তারপরেও কোম্পানিটিকে পাবলিক ইস্যু রুলসের বিভিন্ন ধারা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আনছে। অনেকটা কোম্পানিটিকে এনে বিএসইসির দায় শোধ করার মতো।বিএসইসির কর্মকর্তাদের দাবি, কমিশন ভালো কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনার জন্য বিভিন্ন ইস্যুতে ছাড় বা অব্যাহতি দিতে রাজি। অধ্যাপক শিবলীর নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে এ সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। তবে এই ছাড় শুধু ভালো কোম্পানির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। চার্টার্ড লাইফের মতো দূর্বল কোম্পানিও পাচ্ছে। অন্যদিকে চার্টার্ড লাইফের থেকে ভালো ব্যবসা করা কোম্পানির না পাওয়ারও নজির আছে। এর মাধ্যমে কমিশনের বিরুদ্ধে বৈষম্য সৃষ্টির অভিযোগ আছে।শেয়ারবাজারের ইতিহাসে বীমা কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে কম ২০ পয়সার শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) নিয়ে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) অর্থ উত্তোলন করতে যাচ্ছে টার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। যে কোম্পানিটি এর আগের বছর ২০২০ সালে ১ পয়সাও ইপিএস অর্জন করতে পারেনি। এই দূর্বল মুনাফার কারনে কোম্পানিটির ২.৫০% লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন হয়নি। এই পরিমাণ লভ্যাংশ দিতে গেলেও শেয়ারপ্রতি ২৫ পয়সা মুনাফার দরকার পড়ে।এমন দূর্বল বীমা কোম্পানিটিকে ছাড় দিয়ে শেয়ারবাজার থেকে টাকা নিয়ে শেয়ারবাজার ও ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগের জন্য আইপিও অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। অথচ একজন বিনিয়োগকারী নিজেই এ কাজ করতে পারেন।র্টার্ড লাইফকে শেয়ারবাজারে আনতে আইপিওতে পাবলিক ইস্যু রুলসের সর্বনিম্ন মূলধন উত্তোলন ও আইপিও পরবর্তীতে ন্যূণতম পরিশোধিত মূলধনের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আইপিওতে আসার আগে ২ বছরের মধ্যে নগদে শেয়ার ইস্যু করা যাবে না, এই শর্ত থেকেও ছাড় দিয়েছে।পাবলিক ইস্যু রুলসের (৩)(২)(পি)-তে বলা হয়েছে, কোন কোম্পানি আইপিওতে আবেদন করার পূর্বের ২ বছরের মধ্যে বোনাস শেয়ার ছাড়া পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারবে না। তবে ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর এই বীমা কোম্পানিটির নগদ ইস্যুর মাধ্যমে সাড়ে ৪ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হয়েছে।এদিকে পাবলিক ইস্যু রুলসের (৩)(৩)(সি)-তে বলা হয়েছে, আইপিওতে যেকোন কোম্পানি ন্যূণতম পরিশোধিত মূলধনের ১০% বা ৩০ কোটি টাকা (যেটা বেশি) সংগ্রহের জন্য আবেদন করবে। এছাড়া আইপিও পরবর্তীতে ন্যূণতম পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা হবে বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে।কিন্তু চার্টার্ড লাইফ শেয়ারবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। এছাড়া কোম্পানিটির আইপিও পরবর্তীতে পরিশোধিত মূলধন দাড়াঁবে সাড়ে ৩৭ কোটি টাকায়।

Share this news