চেক নগদায়নকে কেন্দ্র করে শেয়ারবাজারে বড় পতন

চেক দিয়ে এখন থেকে কোন শেয়ার কেনা যাবে না। তবে চেক নগদায়ন হলে শেয়ার কিনা যাবে। বিএসইসি পূর্বের এই সার্কুলারকে আবারও নতুন করে দিয়েছে। বিএসইসির এই সার্কুলারের কারণে শেয়ারবাজারে বড় প্রভাব পড়েছে। যার কারণে শেয়ারবাজারে বড় পতন হচ্ছে বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে কোন বিনিয়োগকারেীরা চেক দিলে, সেই চেকের বিপরীতে শেয়ার কেনা যেত। এতে করে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বাড়তো। পাশাপাশি শেয়ারের ডিমান এবং সাপ্লাই বাড়তো। কিন্তু বিএসইসির বর্তমান নিয়মের কারণে বাজারে লেনদেনের পাশাপাশি ডিমান্ড এবং সাপ্লাই কমেছে। যার প্রভাব শেয়ারবাজারে বড় আকারে পরেছে।যদিও বিএসইসি এই নির্দেশনার পরপরই বাজার সশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিয়ে পূনরায় চিন্তা করার জন্য লিখিতভাবে আবেদন করেছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এখনও বিএসইসি থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।আরও পড়ুন:হাঁক-ডাক বেড়েছে দুর্বল কোম্পানিরএরআগে গত মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সকল সদস্যদের কাছে নগদ চেকে শেয়ার লেনদেনের বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তবে সার্কুলারটি নতুন নয় বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এটি নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আগের সিদ্ধান্তটি বিএসইসি আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।সোমবারের বাজার পযালোচনা:আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৫.৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৪১৩.০১ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১১.৩৯ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২১.৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪০৬.৭৭ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৭৭.৩৪ পয়েন্টে।ডিএসইতে আজ এক হাজার ২৯৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৪৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৩৪৩ কোটি ১২ লাখ টাকার।ডিএসইতে আজ ৩৬১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৬টির, শেয়ার দর কমেছে ১৫৩টির এবং ১৮২টির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৮.৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৭১.০৯ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ২১৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৯টির আর ৮১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।