চেক জটিলতার অবসান চলতি সপ্তাহে-ই
পুঁজিবাজারে মরার উপর খাড়ার ঘা-এর মতো চেপে বসেছে শেয়ার কেনায় চেক নগদায়নের শর্ত। লেনদেনে পড়েছে তীব্র প্রভাব। মন্দা বাজারে বড় বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ অনেক কমে গেছে। তবে চলতি সপ্তাহে-ই বদলাচ্ছে পরিস্থিতি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। বদলেছে তাদের অবস্থান। তাতে শর্তসাপেক্ষে দেওয়া হবে চেক দিয়ে শেয়ার কেনার সুযোগ। আর চলতি সপ্তাহে-ই আসতে পারে এই পরিবর্তন।বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিদেশ সফল শেষে রোববার অফিসে যোগ দিয়েছেন। আর প্রথম দিনেই তিনি চেক জটিলতার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে চেক নগদায়ন ইস্যুর নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।LankaBangla securites single pageজানা গেছে, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে, আবার বাজারে চেক নগদায়ন হওয়ার আগে-ই শেয়ার কেনার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে বাজার শৃঙ্খলা ও সমতার লক্ষ্যে দেওয়া হবে কিছু শর্ত। এসবের মধ্যে পারে, শেয়ারের ক্রয়-মূল্যের বিপরীতে দেওয়া চেক পরবর্তী কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাংকে উপস্থাপন করা। অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা বা অন্য কোনো কারণে চেক নগদায়ন না হলে বা নির্ধারিত সময়ে ব্যাংকে চেক পাঠানো না হলে তার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও থাকতে পারে এসব শর্তের মধ্যে।উল্লেখ, চলতি মাসের গোড়ার দিকে কার্যকারিতা স্থগিত থাকা ২০১০ সালের একটি প্রজ্ঞাপনের আলোকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে ব্রোকারহাউজগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়, তারা যেন গ্রাহকের জমাকৃত চেক নগদায়ন না হওয়া পর্যন্ত ওই টাকার বিপরীতে কোনো শেয়ার কিনতে না দেওয়া হয়।পুঁজিবাজারে ওই নির্দেশনার তীব্র প্রভাব পড়ে। ছড়িয়ে পড়ে অস্থিরতা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ও অর্থনীতিতে থাকা নানা চাপের প্রভাবে এমনিতেই বাজারে নাজুক অবস্থা চলছে। বড় ধস ঠেকানো ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা চালু করেছে। তাতেও পতন ঠেকানো যাচ্ছে না। এর মধ্যে চেক জটিলতা মরার উপর খাড়া ঘা হয়ে উঠে।এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে চেক নগদায়ন সংক্রান্ত নির্দেশনাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। বিনিয়োগকারীসহ আরও অনেক স্টেকহোল্ডারের পক্ষ থেকেও এ দাবি উঠে। কিন্তু কমিশনের চেয়ারম্যান দেশের বাইরে থাকায় এ সংক্রান্ত কেনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিএসইসি।