চেক ইস্যুতে বাড়ছে চাপ, পতনের ধারা অব্যাহত
চেক দিয়ে এখন থেকে কোন শেয়ার কেনা যাবে না। তবে চেক নগদায়ন হলে শেয়ার কিনা যাবে। বিএসইসি পূর্বের এই সার্কুলারকে আবারও নতুন করে দিয়েছে। বিএসইসির এই সার্কুলারের কারণে শেয়ারবাজারে বড় প্রভাব পড়েছে।দিনকে দিন বেড়েই চলেছে চাপ। এতে করে শেয়ারবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে কোন বিনিয়োগকারেীরা চেক দিলে, সেই চেকের বিপরীতে শেয়ার কেনা যেত। এতে করে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বাড়তো। পাশাপাশি শেয়ারের ডিমান এবং সাপ্লাই বাড়তো। কিন্তু বিএসইসির বর্তমান নিয়মের কারণে বাজারে লেনদেনের পাশাপাশি ডিমান্ড এবং সাপ্লাই কমেছে। যার প্রভাব শেয়ারবাজারে বড় আকারে পরেছে। আর এই চাপ বেড়েই চলতে থাকবে।কারণ হিসেবে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চেক নগদ করতে যে সময় লাগে তাতে করে ওই চেকের অর্থের পরিমাণ শেয়ার কিনতে এক-দুই দিন সময় লাগে। এতে করে শেয়ারবাজারে লেনদেনের প্রভাব পরে। চাইলেই কোন বিনিয়োগকারী হুট করে চেক দিয়ে শেয়ারে এন্ট্রি নিতে পারে না। যার কারণে এক দুই দিন পরে ওই শেয়ারে বিনিয়োগ উপযোগী না থাকতে পারে। তাই এই চেক ইস্যুটি বাজারে বড় আকারের প্রভাব ফেলেছে।একদিকে নগত অর্থ লেনদেন নো করার নির্দেশ বিএসইসির। আবার চেকের অর্থে শেয়ার কেনা যাবে না এমন নির্দেশনাও দিলো বিএসইসি। তাহলে বিষয়টি বাজারের লেনদেনে স্বাভাবিকভাবেই বড় প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে বিষয়টি প্রত্যাহারের জন্য ডিএসই বরাবর চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সদস্যরা।এরআগে গত মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সকল সদস্যদের কাছে নগদ চেকে শেয়ার লেনদেনের বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তবে সার্কুলারটি নতুন নয় বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এটি নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আগের সিদ্ধান্তটি বিএসইসি আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।আজ (১৮ অক্টোবর) মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২.৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৪০০.৭০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.০৬ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪০৬.৮৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৭৭.৪৪ পয়েন্টে।ডিএসইতে আজ এক হাজার ৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৯১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২৯৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার।ডিএসইতে আজ ৩৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪৯টির, শেয়ার দর কমেছে ১০০টির এবং ২২০টির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১.১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৫৪.১৭ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ২০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ৮০টির আর ৮৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৪১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।