চার দিনে ৩২ শতাংশ দর বাড়ায় এবার আরেক শেয়ারে বিনিয়োগে সতর্কবার্তা
![চার দিনে ৩২ শতাংশ দর বাড়ায় এবার আরেক শেয়ারে বিনিয়োগে সতর্কবার্তা](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/6416/2DSE_bg20230401040626.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের কোম্পানি লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেডের শেয়ারদর গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ৩২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচ্য সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কোম্পানিটি। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ের এ বৃদ্ধির পেছনে নোটিশের জবাবে কোম্পানিটি তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই বলে ডিএসইকে জানিয়েছে কোম্পানিটি। এ নোটিশের মাধ্যমে শেয়ারটিতে বিনিয়োগে এক ধরনের সতর্কবার্তা দিলো বিনিয়োগকারীদের।বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইতে লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারদর ছিল ৫৬ টাকা ২০ পয়সা। সপ্তাহ শেষে এ দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ৪০ পয়সায়। সে হিসাবে আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৮ টাকা ২০ পয়সা বা ৩২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ২২ কোটি ৯৬ লাখ ৮২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় হিসাবে এ লেনদেন ছিল ৫ কোটি ৭৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা।সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের বিক্রি হয়েছে ৯ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি ছিল ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির বিক্রি কমেছে ৯৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। বিক্রি কমার পাশাপাশি বিভিন্ন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিকে লোকসান গুনতে হয়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছিল ১৪ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১১ পয়সা।এদিকে সর্বশেষ দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে বিক্রি ছিল ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির বিক্রি কমেছে ৯৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। সর্বশেষ প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ২২ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে নিট মুনাফা ছিল ৫ লাখ টাকা। আলোচ্য দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৩ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৪ পয়সায়।৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশের সুপারিশ করেনি কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৮৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৩৯ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৮৩ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১০ টাকা ৮৩ পয়সায়।২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আগের হিসাব বছর লভ্যাংশবঞ্চিত হয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আগে ২০১৭-১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও বাকি ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। তার আগে ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।