চাহিদা বেশি বিমা খাতে
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) সব সূচক কমেছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। এদিন লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল বিমা খাতের শেয়ারে। এর ফলে আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর সব থেকে বেশি বেড়েছে। এরপর শেয়ারদর বেশি বেড়েছে বস্ত্র খাতের শেয়ারে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের শেয়ার।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে ১৫টির শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং ১৩টির দাম কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বস্ত্র খাতের শেয়ারদর গতকাল বেড়েছে দশমিক ৩০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ৫৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম কমেছে ৩টি কোম্পানির শেয়ারের এবং বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল শেয়ারদর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা জ্বালানি খাতের শেয়ারদর দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। আলোচিত খাতটিতে গতকাল মোট ২৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। খাতটিতে লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে ১টির দাম বেড়েছে এবং ৪টির দর কমেছে। এছাড়া গতকাল আর্থিক ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির ও কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় শেয়ারদর বেশি কমেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতের কোম্পানির শেয়ারে। খাতটিতে গতকাল শেয়ারদর কমেছে ৮ শতাংশ। এরপর বেশি কমেছে পাট খাতের কোম্পানির শেয়ারে। এদিন পাট খাতে শেয়ারদর কমেছে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর কমে চতুর্থ স্থানে ছিল ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া আইটি খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। গতকাল চতুর্থ স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে ৪২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে ৫৫২ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ডিএসইতে গতকাল ১২৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা কম শেয়ার লেনদেন হয়েছে।গতকাল ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৫০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৪৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৮০ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল ৩০৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০টির, কমেছে ৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২০টির।অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৩ পয়েন্ট কমেছে। গতকাল সিএসইতে ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।