ব্যয়বৃদ্ধির চাপে লোকসানে প্রিমিয়ার সিমেন্ট

Date: 2023-02-14 16:00:16
ব্যয়বৃদ্ধির চাপে লোকসানে প্রিমিয়ার সিমেন্ট
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসির চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় বিক্রি বাবদ আয় বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। তবে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যয় বাড়ায় কর-পরবর্তী নিট লোকসান গুনতে হয়েছে কোম্পানিটিকে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে প্রকাশিত কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে প্রিমিয়ার সিমেন্টের বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ৮৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৮৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২৯৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা বা ৫০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ২৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২৩ পয়সা।সর্বশেষ ডিসেম্বর সময় পর্যন্ত লোকসান হওয়ার কারণ হিসেবে প্রিমিয়ার সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির করণে আলোচ্য সময়ে তাদের অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয়েছে। এতে কোম্পানির উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় আলোচ্য সময়ে কোম্পানির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে। এদিকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৫১৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৯৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকের কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৭৪ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ পয়সা।

Share this news