ব্যাংকের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে, উত্তরণে কমিশন গঠন প্রয়োজন: সিপিডি
![ব্যাংকের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে, উত্তরণে কমিশন গঠন প্রয়োজন: সিপিডি](https://stocknews.zubaer.com/images/stock-news-bangladesh-zubaer.jpg)
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, অভ্যন্তরীণ নীতিমালা ও সুশাসন না থাকাই অর্থনীতির বড় দুর্বলতা। অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বড় ধরনের সংকট এখন আর বলা যাচ্ছে না। ভেতরের দুর্বলতাই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।সোমবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ধানমন্ডির কার্যালয়ে আগামী ২০২৩-২৪ সালের বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. তৌফিক ইসলাম খান বক্তব্য দেন।ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংকের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ব্যাংক কমিশন গঠনের প্রয়োজন। সেই কমিশন ব্যাংকের ভেতরে কী হচ্ছে, তথ্য বের করে এনে সমস্যা নিরূপণের উদ্যোগ নেবে।তিনি বলেন, ব্যাংক পরিচালন কার্যক্রমে নৈতিকতা ও আপ টু মার্ক মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে, যার মাধ্যম সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আইনি দুর্বল দিকগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।ফাহমিদা বলেন, সামনে যে বাজেট প্রণয়ন হবে সেটি বর্তমান সরকার চলতি মেয়াদের সর্বশেষ বাজেট। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে অর্থনীতিতে। তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সামষ্টিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও এটা পুনরুদ্ধার করা, সরকারের যে অর্জন রয়েছে সেটাকে সুসংহত করা এবং নতুন বাস্তবতার প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার মধ্যে এক সমন্বয় সাধন, অর্থাৎ কোনটাকে ছাড় দিয়ে কোনটাকে অগ্রাধিকার দেব সেটার বিবেচনা।স্থিতিশীল বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী বছরের যে জাতীয় নির্বাচন, সেই নির্বাচনকে বিবেচনায় নিয়ে বাজেট প্রণয়ন হবে। এটা করতে গিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকে। তাই ছয়টি বিষয়ের ওপর জোর দিতে হবে বলে ফাহমিদা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব কাঠামো, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও মূল্যস্ফীতি, সামাজিক বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত আগামী বাজেটে বড় বিবেচ্য বিষয়। জাতীয় উন্নয়ন ব্যয় অনেকখানি কমছে। রিজার্ভ সংরক্ষিত রাখতে আমদানি সীমিত রাখা হয়েছে। এর ফলে অর্থনৈতিক চলকগুলোর অনেকটা শ্লথ গতি দেখা যাচ্ছে।চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জুলাই-ডিসেম্বর ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। এ সময়ে ৩ দশমিক ১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক সূচকে আনা ও আগামী ছয় মাসে কীভাবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে সেটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিবছর এনবিআরকে বড় ধরনের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া ও সেটা কখনই পূরণ করতে পারে না। ভ্যাট ও আমদানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না। সরকারের আমদানি নির্ভরতায়ে শুল্ক খাত থেকে বড় ধরনের রাজস্ব এলেও আমদানি সীমাবদ্ধতায় সেটাও কমে গেছে। যার প্রতিফলন রাজস্ব আহরণের দেখছি। রাজস্বের যে সূচক আমরা দেখছি, এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে রাজস্ব আদায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা কম হবে বলেও উল্লেখ করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।