বড় লোকসানে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের সমন্বিত আর্থিক হিসাব অনুসারে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসির (ইপিজিপিএলসি) শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৩৬ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের আগের হিসাব বছরে ৫১ পয়সা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল।মূলত সাবসিডিয়ারি (সহায়ক) প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছেড়ে দেয়ার কারণে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে। অন্যদিকে একক আর্থিক হিসাবে কোম্পানিটি মুনাফায় থাকলেও আগের তুলনায় মুনাফা কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সাবসিডিয়ারির শেয়ার ছেড়ে দেয়ার কারণে লোকসানের বিষয়ে ইপিজিপিএলসি স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে, সমন্বিত আর্থিক হিসাবে ইপিজিপিএলসির সহায়ক প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড (ইপিভিএল) এবং দুটি উপসহায়ক প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার চিটাগং লিমিটেড (ইপিভিসিএল) ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার ঠাকুরগাঁও লিমিটেডের (ইপিভিটিএল) শেয়ার বিক্রি করে ৯১ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এ লোকসানের মধ্যে তিনটি সহায়ক প্রতিষ্ঠানের পুনর্মূল্যায়িত সঞ্চিতি বাবদ ৪১ কোটি ৫০ লাখ টাকাও রয়েছে। ইপিজিপিএলসির কাছে থাকা ইপিভিএলের শেয়ার ৩১ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে এবং এতে ইপিভিসিএলে থাকা মূল কোম্পানির ৮১ শতাংশ পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে আর নেই। শেয়ার ছেড়ে দেয়ার সময় ইপিভিসিএলের নিট সম্পদমূল্য ছিল ৮৭ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। একত্রীকরণের ফলে যখন ইপিভিএলের শেয়ার বিক্রি করে দেয়া হয় তাতে ইপিজিপিএলসির ১৬ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরোক্ষ ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি ইপিভিএল তার কাছে থাকা ইপিভিটিএলের পুরো শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে এবং এতে ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ইপিভিএলের শেয়ার ছেড়ে দেয়ার কারণে সার্বিকভাবে যে ক্ষতি হয়েছে সেটি ইপিজিপিএলসির সমন্বিত আর্থিক হিসাবে বড় ধরনের প্রভাব রেখেছে এবং এতে ২০২২-২৩ হিসাব বছরের মুনাফায় পতন হয়েছে।এদিকে ২০২২-২৩ হিসাব বছরের এককভাবে ইপিজিপিএলসির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) ৭৫ পয়সা। যেখানে এর আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সায়। এককভাবে মুনাফা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কোম্পানিটি বলছে, মজুদ পণ্য ও মন্দ ঋণ সঞ্চিতি পুনর্মূল্যায়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রাজনিত লোকসানের কারণে মুনাফার ওপর প্রভাব পড়েছে। কোম্পানিটি আরো জানিয়েছে, ২০২২-২৩ হিসাব বছরে ইপিজিপিএলসির সহায়ক কোম্পানি ইপিভিএলের ১১ লাখ ১২ হাজার শেয়ার ছেড়ে দিয়েছে এবং এতে কোম্পানিটির ১ কোটি ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের (উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে) জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি এককভাবে সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ১৮ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)।৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের দিয়েছে ইপিজিএল। আলোচ্য হিসাব বছরে এর বাইরে আর কোনো লভ্যাংশ সুপারিশ করেনি কোম্পানিটি।২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্যও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইপিজিএল।আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৮৩ পয়সা।