বন্ধ মেঘনা কনডেন্সড মিল্কেও বিভিন্ন অনিয়ম

Date: 2023-01-17 16:00:11
বন্ধ মেঘনা কনডেন্সড মিল্কেও বিভিন্ন অনিয়ম
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায় লোকসানে রয়েছে। এরইমধ্যে ৪ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে উৎপাদন। যে কোম্পানিটির উৎপাদনে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এমন একটি কোম্পানিতেও বিভিন্ন অনিয়ম হচ্ছে।কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে এসেছে।মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের ব্যাংক ঋণ হিসেবে ৬৪ কোটি ২৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। কিন্তু আপডেট ব্যাংক স্টেটমেন্ট না পাওয়ায় সত্যতা যাচাই করা যায়নি। এছাড়া কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দাবি করা ৮ কোটি ২ লাখ টাকার মজুদ পণ্যের সত্যতা নিয়েও সন্দেহ করেছেন নিরীক্ষক। আর নগদ ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা আছে বলে আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করলেও তা নিরীক্ষক দ্ধারা যাচাই করা হয়নি।তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ প্রাপ্তি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু অনেক বছর আগে ঘোষণা করা লভ্যাংশের ১৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা এখনো প্রদান করেনি।নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরে নিট ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। যে কোম্পানিটির মোট সম্পদের থেকে চলতি দায় বেশি হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েক বছর ধরে লোকসান, ঋণাত্মক ইক্যুইটি, ঋণাত্মক সংরক্ষিত আয় ও ঋণাত্মক সম্পদ রয়েছে। কোম্পানিটির এই অবস্থা ব্যবসায় ফিরে আসাকে হূমকির মূখে ফেলেছে। যে কোম্পানিটির গ্যাসলাইন বিচ্যুত করার পরে গত ৪ বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-১২ অনুযায়ি, ডেফার্ড ট্যাক্স হিসাব করে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এছাড়া তারা ডেফার্ড ট্যাক্স সমন্বয় ছাড়াই রিভ্যালুয়েশন সারপ্লাসের উপর ধার্য্য করা অবচয় রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভ থেকে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।উল্লেখ্য, ২০০১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের হাতে। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৩৬.৬০ টাকায়।

Share this news