বন্ধ হয়ে গেল জিবিবি পাওয়ারের একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র

Date: 2023-06-18 17:00:17
বন্ধ হয়ে গেল জিবিবি পাওয়ারের একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদক (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের গ্যাসভিত্তিক ২৩ মেগাওয়াট সক্ষমতার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে করা কোম্পানিটির চুক্তির মেয়াদ ১৬ জুন শেষ হয়েছে। এর পর থেকেই বিপিডিবির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রটিতে উৎপাদন বন্ধ রেখেছে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।তথ্যানুসারে, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে আবেদন করেছে জিবিবি পাওয়ার। গত ১১ জানুয়ারি করা এ আবেদনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।বগুড়ায় অবস্থিত জিবিবি পাওয়ারের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০০৭ সালে বিপিডিবি ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। ২০০৮ সালের জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে কেন্দ্রটি। ২০১২ সালে কোম্পানিটি দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। আলোচ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোম্পানিটির আয়ের একমাত্র উৎস। কোম্পানিটির ২০২১-২২ ও ২০২০-২১ হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভবিষ্যতে কোম্পানিটির টিকে থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে মতামত দিয়েছিলেন নিরীক্ষক।চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) জিবিবি পাওয়ারের আয় হয়েছে ৬১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৭ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৭৭ পয়সায়।সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে জিবিবি পাওয়ারের আয় হয়েছে ৬৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। ২০২১-২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে জিবিবি পাওয়ার। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা। ২০১৯-২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল জিবিবি পাওয়ার। এর মধ্যে ৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ও ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।ডিএসইতে গতকাল জিবিবি পাওয়ার শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১৫ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে এ শেয়ারের দর ১৫ টাকা থেকে ২৪ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

Share this news