বিভ্রান্তি ও দুশ্চিন্তা কেটেছে

Date: 2022-09-16 00:29:49
বিভ্রান্তি ও দুশ্চিন্তা কেটেছে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একটি পরিপত্রকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেল থেকেই শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবারও তাঁদের সেই বিভ্রান্তি ও দুশ্চিন্তা পুরোপুরি কাটেনি। ফলে শেয়ারবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত। কমেছে লেনদেনও।এনবিআরের পরিপত্রে বলা হয়েছিল, অর্থ আইন ২০২২-এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর সেকশন ৩২-এর সাব-সেকশন ৭ বিলোপের ফলে সরকারি সিকিউরিটিজ এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত পাবলিক কোম্পানির স্টকস ও শেয়ার হস্তান্তর থেকে অর্জিত মূলধনি আয় বা ক্যাপিটাল গেইন করযোগ্য আয় হিসেবে পরিগণিত হবে। এনবিআরের পরিপত্রের এ ধারার ফলে শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে এমন বিভ্রান্তি ছড়ায়, শেয়ারবাজারের মূলধনি আয়কে করের আওতায় আনা হয়েছে। তাতে প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং নীতিনির্ধারকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েন। উদ্বিগ্ন সব পক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত হতে সাংবাদিক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট নানা জায়গায় ফোন করে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন।বর্তমানে শেয়ারবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মূলধনি আয়ের ওপর কোনো কর নেই। নতুন করে করারোপ করা হলে বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে—এটাই উদ্বেগের প্রধান কারণ। পরে অবশ্য কিছু কিছু অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এনবিআরের বরাতে নিশ্চিত করা হয় যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মূলধনি আয় করমুক্তই থাকছে, সেখানে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।এতে বিনিয়োগকারী ও বাজারসংশ্লিষ্ট একটি অংশ দুশ্চিন্তামুক্ত হলেও এ নিয়ে পুরোপুরি বিভ্রান্তি কাটেনি, যার প্রভাব পড়েছে গতকালের শেয়ারবাজারে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ২৪৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ৬৪ কোটি টাকা কম। বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্তিতে থাকায় শেয়ার লেনদেন হওয়া ৩৭১ কোম্পানির মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪১টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। আর দাম বাড়ে ১২৩টির ও কমে ১০৭টির। তবে দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ২৮ পয়েন্ট বাড়ে।এদিকে এনবিআরের আয়করনীতি বিভাগের দ্বিতীয় সচিব বাপন চন্দ্র দাস গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, শেয়ারবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তাঁদের মূলধনি আয় আগের মতোই করমুক্ত রয়েছে। সামান্য একটু পরিবর্তন এসেছে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বেলায়। আগে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বেলায় বেসরকারি খাতের কোম্পানির শেয়ারের মূলধনি আয় করযোগ্য ছিল। কিন্তু সরকারি কোম্পানি বা সিকিউরিটিজ থেকে পাওয়া মূলধনি আয় করমুক্ত ছিল। এখন সরকারি ও বেসরকারি উভয় শ্রেণির সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মূলধনি আয়কে নির্ধারিত হারে করযোগ্য করা হয়েছে।

Share this news