বিক্রয় চাপে ১৪ খাতেই পতন
![বিক্রয় চাপে ১৪ খাতেই পতন](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/5486/bazar-768x422.jpg)
দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক পতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রোববারের লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। এদিন সূচকের পতনে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে ২০টির মধ্যে ১৪ খাতে বা ৭০ শতাংশ খাতে দরপতন হয়েছে। ফলে আলোচ্য খাতগুলোয় শেয়ারদর কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে। দর কমার দ্বিতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাতের শেয়ার। আইটি এবং সেবা ও আবাসন খাত যথাক্রমে দর কমার তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে ছিল। এছাড়া ছয়টি খাতের শেয়ারে গতকাল শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল কাগজ খাতের শেয়ারদর কমেছে ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ছয়টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে পাঁচটির দর কমেছে এবং একটির দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে দুই শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। এদিন খাতটিতে মোট ছয়টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে পাঁচটির দর কমেছে এবং একটি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে, তৃতীয় স্থানে ছিল আইটি খাত। এ খাতে লেনদেন হওয়া ১১টি কোম্পানির মধ্যে একটির শেয়ারদর বেড়েছে, একটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল এবং বাকিগুলোর দর কমেছে। চতুর্থ স্থানে থাকা সেবা খাতে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড, ব্যাংক, প্রকৌশলী ও আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১০ শতাংশ লেনদেন হওয়া খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এদিন বিক্রেতার চাপ তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। ডিএসইতে ১৪৮টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ১৮টির বেড়েছে। অপরদিকে সিএসইতে ৬২টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ১২টির বেড়েছে।ডিএসইতে ২৮৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৪০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২২৭ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে ও ডিএসইএস সূচক ৪ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২২১ দশমিক ৫১ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬২ দশমিক ১৯ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৮টির এবং কমেছে ১৪৮টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৩২টির।অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি ৪৯ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবসে তিন কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ১২টি, কমেছে ৬২টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৫২টির। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৮৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ২১ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ২৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ৩ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৫ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩০৯ দশমিক ৯১ পয়েন্টে, ১১ হাজার ২০ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬১ দশমিক ৪০ পয়েন্টে।