বিক্রি বাড়লেও মুনাফা চার গুণ কমেছে সিঙ্গার বাংলাদেশের

Date: 2022-10-21 03:00:08
বিক্রি বাড়লেও মুনাফা চার গুণ কমেছে সিঙ্গার বাংলাদেশের
চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের। তবে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে কোম্পানিটির পণ্য উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিটির পরিচালন ব্যয়ও বেড়েছে। এসব কারণে আলোচ্য বিক্রি বাড়লেও আলোচ্য তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমেছে চার গুণের বেশি। প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে সিঙ্গার বাংলাদেশের বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪৪১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ বিক্রি ছিল ১ হাজার ৩২২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে হিসাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ১১৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বা ৯ শতাংশ। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। আর পরিচালন ব্যয় বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। এসব কারণে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমেছে ৪৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা বা চার গুণের বেশি। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটি কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ মুনাফা ছিল ৫৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ৯৭ পয়সা। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৫৩ পয়সায়।সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে সিঙ্গার বাংলাদেশের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ২০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ টাকা ৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৬ পয়সা।২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল সিঙ্গার বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৭৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রকৌশল খাতের বহুজাতিক কোম্পানিটি। এছাড়া ২০১৮ হিসাব বছরে ৩০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিঙ্গার বাংলাদেশের বর্তমানে অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৪১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৯৭ লাখ ২ হাজার ৮৩৮টি। এর মধ্যে ৫৭ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে রয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ দশমিক ৭৬, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৮৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সিঙ্গার বাংলাদেশের শেয়ার সর্বশেষ ১৫১ টাকা ৯ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৪৯ টাকা ১০ পয়সা ও ১৭৯ টাকা ৫০ পয়সা।

Share this news