বিজনেস সামিটের মাধ্যমে চাঙ্গা হবে দেশের শেয়ারবাজার
![বিজনেস সামিটের মাধ্যমে চাঙ্গা হবে দেশের শেয়ারবাজার](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/5853/businesssummit.jpg)
করোনাভাইরাসের মহামারি আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। বাজারের লেনদেন ও সিকিউরিটিজের শেয়ার দাম ধীরে ধীরে সামনে অগ্রসর হচ্ছে।বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি নীতি সহায়তা প্রদানের ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। আসন্ন বিজনেস সামিট বাজারকে চাঙা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী তাঁরা।উল্লেখ্য, ১১-১৩ মার্চ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের উদ্বোধন করবেন।যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির সিইওসহ বিশ্বের ১৭টির বেশি দেশ থেকে দুই শতাধিক বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে এই সামিটে।এই বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির যে অঙ্গিকার রয়েছে, সেটিকে এই বিজনেস সামিটের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে আমলে নিয়ে পোর্টফলিও ইনভেস্টমেন্ট এবং ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টে আরও বেশি আগ্রহী হবে।তিনি বলেন, বিএসইসি এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটে যে কোনো বড় কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে আমাদের নিয়ন্ত্রণকারী ভূমিকা থাকে। সেখানে যেকোনো কোম্পানির যদি বিদেশি বিনিয়োগ থাকে, তবে তারা তালিকাভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে লিকুইডিটি নিতে পারে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, সমস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে যখন তারা দেখবে, যেমন পণ্য দেখবে এতে করে তাদের কর্মচাঞ্চল্য বেড়ে যাবে। তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেয়ারবাজারে এটার একটা প্রভাব পড়বে। কাজেই আমরা আশা করছি বিজনেস সামিটের মাধ্যমে শেয়ারবাজারও চাঙা হবে।ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সামর্থ্য, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং নতুন বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এই বিজনেট সামিট।তিনি বলেন, এই বিজনেস সামিট দেশের জন্য একটি ব্র্যান্ডিং। বিজনেস সামিটে ব্যবসায়ী নেতা, নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর প্রধানরা ইতোমধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, এই বিজনেট সামিট বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক গতিকে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।তিনি জানান, দেশ-বিদেশের যে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন তারা ভালো একটা অঙ্কের নিবন্ধন ফি প্রদান করে অংশ নিচ্ছেন। এই থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে এখন মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। তারা এখানে ব্যবসা করতে চায়। এই সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।