বিএসসি’র তোড়ে চার কোম্পানির শেয়ারে ধপাশ
![বিএসসি’র তোড়ে চার কোম্পানির শেয়ারে ধপাশ](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/5220/share-low.png)
গত সপ্তাহের শেষ দিক থেকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশেন-বিএসসি’র শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ায় শেয়ারটির দরেও ভালো ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। চার দিন আগে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২৩ টাকা ছিল। সেখান থেকে টানা বেড়ে ১৪৪ টাকায় উঠেছে।বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে লেনদেনের ক্রেজে থাকা অন্য চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা সেসব কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে বিএসসির শেয়ারে ঢুকছেন। ফলে ওই কোম্পানি চারটির শেয়ারে রয়েছে টানা পতন। কোম্পানি চারটি হলো-জেনেক্স ইনফোসিস, ইস্টার্ন হাউজিং, বসুন্ধরা পেপার ও ওরিয়ন ফার্মা। কোম্পানি চারটি গত কয়েকদিন যাবতই লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করছে। কিন্তু লেনদেনে গতি থাকলেও শেয়ারগুলোর দরে রয়েছে টানা মন্দাভাব।এরমধ্যে জেনেক্স ইনফোসিস গত কয়েকদিন যাবতই লেনদেনের শীর্ষে স্থান অধিকার করছে। যদিও আজ জেনেক্স ইনফোসিস দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে। কোম্পানিটির লেনদেনে বড় উল্লম্ফন থাকলেও গত তিন দিন যাবতই কোম্পানিটির শেয়ার দর নিচে নামছে। তিন দিনে কোম্পানিটির দর ১১০ টাকার ওপর থেকে আজ (সোমবার) ১০৪ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে গেছে।বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এর আগে বেশ কিছুদিন বিএসসির শেয়ার দর ১১০ টাকার আশপাশে লেনদেন হয়েছে। কিন্তু সেই মন্দাভাব কাটিয়ে জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে শেয়ারটি তেজিভাবে ফিরেছে। এরপর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ার থেকে বিনিয়োগকারীরা ভালো রিটার্ণ পাচ্ছেন।ডিএসই’র তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি বিএসসি’র শেয়ার দর ছিল ১১০ টাকা ৪০ পয়সা। তারপর থেকে কোম্পানিটির শেয়ার দরে গতি দেখা যায়। সর্বশেষ আজ কোম্পানিটির শেয়ার ১৪৬ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। যা দিনশেষে ক্লোজিং হয়েছে ১৪৪ টাকা ১০ পয়সায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে ১৩৮ টাকা ২০ পয়সায়।বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএসসির এমন শেয়ার দর বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে জাহাজ কেনার খবর। কোম্পানিটি নতুন ৬টি জাহাজ কেনার বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই জাহাজগুলো যোগ হলে কোম্পানিটির মুনাফায় বড় পরিবর্তন আসবে-এমনটাই মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।তবে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির মুনাফায় কিছুটা অধোগতি দেখা যেতে পারে। কারণ একদিকে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিএসসির একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এর জাহাজ সংখ্যা কমে গেছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে সমুদ্রগামী জাহাজের ভাড়ায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। এর জন্য আমদানির উপর কড়াকড়ি আরোপও এর অন্যতম কারণ বলে বিএসসি’র কর্মকর্তারা জানায়।এদিকে, চলতি মাসের শেষদিকে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ জাহাজের ক্ষয়ক্ষতির দাবি উত্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএসসি। জাহাজটির ক্ষয়ক্ষতি পেলে চলতি অর্থবছর কোম্পানিটির মুনাফায় আরও বেশি অগ্রগতি হবে।