বিএসসি’র চার জাহাজ কেনার প্রস্তাব একনেকে অনুমোদন

Date: 2023-04-18 21:00:24
বিএসসি’র চার জাহাজ কেনার প্রস্তাব একনেকে অনুমোদন
পবিত্র ঈদের আগের শেষ কর্মদিবস মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন-বিএসসি’র ৪টি জাহাজ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। জাহাজ ৪টির মধ্যে ২টি হলো- ক্রুড অয়েল মাদার ট্যাঙ্কার এবং ২টি বাল্ক ক্যারিয়ার।পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া সভাশেষে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জি-টু-জি ভিত্তিতে চীনের অর্থায়নে চার জাহাজ কেনার প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।চারটি তেলবাহী জাহাজ সংগ্রহ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২,৬২০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ঋণ হিসেবে চীনের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ২,৪৮৬ কোটি টাকা, যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৯৫ শতাংশ।প্রকল্পের অধীনে প্রতিটি ১.১৪ লাখ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ক্রুড অয়েল ট্যাঙ্কার এবং প্রতিটি ৮০,০০০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহ করা হবে।বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে শিপিং কর্পোরেশনের ০.৩০ মিলিয়ন টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৮ জাহাজের একটি বহর রয়েছে। বহরে ৩টি বাল্ক ক্যারিয়ার, ৩টি পুরানো রাসায়নিক ট্যাঙ্কার এবং ২টি লাইটার জাহাজ রয়েছে।জাহাজ ৪টি কেনার পর বিএসসি’র আয়ে ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে বড় ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে বলে বিএসসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।আরও ৬ সেলুলার জাহাজ কেনার উদ্যোগবিএসসি জানায়, বর্তমানে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯০ শতাংশের বেশি সমুদ্রপথেই হয়ে থাকে। যে কারণে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনের জন্য বিদেশি জাহাজের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হওয়ায় ফ্রেইট চার্জ মেটাতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে বাংলাদেশ।বিদেশি জাহাজের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে আরও ৬টি সেলুলার জাহাজ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসসি। ফ্রেইট কন্টেইনার পরিবহনের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা সেলুলার জাহাজগুলো প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম থেকে সিঙ্গাপুরে এবং পরে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্য পরিবহন করবে।ইতোমধ্যে জাহাজ ছয়টি কেনার একটি প্রকল্প প্রস্তাব গত ৬ এপ্রিল পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কমিশনের নীতিগত অনুমোদনের পর, বিদেশি ঋণ সংগ্রহের জন্য প্রস্তাবটি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে পাঠানো হবে।বিএসসিজানিয়েছে, প্রস্তাবিত সেলুলার জাহাজগুলো প্রতিবছর প্রায় ৬ লাখ টিইইউএস (বিশ-ফুট সমতুল্য ইউনিট) কন্টেইনারাইজড কার্গো পরিবহন করবে। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুযায়ী, জাহাজ ৬টি থেকে বার্ষিক আয় হবে ২,২৬১ কোটি টাকা এবং জাহাজের বার্ষিক পরিচালন ব্যয় হবে ১,২১৫ কোটি টাকা।৬ জাহাজ কেনা প্রকল্পে ব্যাংক চার্জ, জাহাজের নিবন্ধন, ক্রেতার সার্ভেয়ার ফি, ট্যাক্স ও ভ্যাট এবং লজিস্টিকসহ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩,৮৩৭ কোটি টাকা (৩৫৮.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। প্রকল্প ব্যয়ের প্রায় ৯২ শতাংশ বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

Share this news