বিএসসি বাংলার সমৃদ্ধির ক্ষতিপূরণ পেল ২৩৭ কোটি টাকা
![বিএসসি বাংলার সমৃদ্ধির ক্ষতিপূরণ পেল ২৩৭ কোটি টাকা](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/6192/bscship.jpg)
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধির জন্য বিমা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ১০৬ টাকা ধরে হিসাব করলে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৩৭ কোটি টাকা।বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মো. জিয়াউল হক বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটির বিমা দাবির ২ কোটি ২৪ লাখ ডলার দেশে এসেছে। সরকারি বিমা কোম্পানি সাধারণ বিমা করপোরেশন হয়ে এই অর্থ বিএসসির হিসাবে জমা হচ্ছে।এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) প্রাইমারি বিমা ইন্স্যুরার বা প্রাথমিক বিমাকারী সংস্থা সাধারন বীমা কর্পোরেশন জাহাজটির রিইন্সুরার বা পুনঃবিমাকারী প্রতিষ্ঠান লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিমা কোম্পানি টাইসারের কাছ থেকে প্রাপ্ত বিমার ২ কোটি ৪৭ লাখ ডলার বিএসসি’র ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করেছে। এবার দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকি ৭৭ লাখ ডলার প্রেরণ করছে।বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে জাহাজটি আড়াই কোটি মার্কিন ডলার বা ২০৪ কোটি টাকায় সংগ্রহ করেছিল সংস্থাটি। যুদ্ধে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এই জাহাজটি বিশ্বের বিভিন্ন বন্দর থেকে পণ্য আনা–নেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিল।সূত্র জানায়, জাহাজটির ক্ষতিপূরণের বাইরে ওই জাহাজে থাকা নাবিকেরাও বিমা বাবদ প্রায় আট কোটি টাকার বেশি পেয়েছেন।যুদ্ধকালীন উচ্চ ঝুঁকি এড়াতে বিমা করা ছিল জাহাজটির। পরে যা লন্ডনের লয়েডের ব্রোকার টাইজারসের মাধ্যমে পুনর্বিমা করা হয়েছিল। জাহাজটির বিমার যে সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তাতে সাধারণ বিমার আওতায় ছিল ১০ শতাংশ এবং বাকি ৯০ শতাংশ ছিল টাইজারসের আওতায়।যুদ্ধ শুরুর পর আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনের সমুদ্রসীমায় পণ্যবাহী জাহাজের জন্য বিমার প্রিমিয়াম তাৎক্ষণিকভাবে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।বিএসসি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি সংস্থা। এই সংস্থার সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছায় গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন ভোরেই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। হামলার সপ্তম দিনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে।তারপর বন্দরটির আশপাশের এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সহায়তায় ৩ মার্চ জাহাজে থাকা ২৮ নাবিককে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁদের ইউক্রেনের বাংকারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৯ মার্চ জাহাজটির নাবিক ও প্রকৌশলীরা দেশে ফেরেন।