শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে এই পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ১৮টি কোম্পানি। এরমধ্যে মুনাফা কমেছে ১১টি কোম্পানির। যেগুলোর মধ্যে ৯টি কোম্পানির মুনাফা কমেছে এবং ২টির লোকসান বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।মুনাফা কমার ১১ কোম্পানি হলো- বারাকা পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, এনার্জি প্যাক পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, পদ্মা অয়েল, তিতাস গ্যাস এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।বারাকা পাওয়ারঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) শেয়ার ইপিএস হয়েছে ৫১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৬ পয়সা।তবে অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে। দুই প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩৮ পয়সা।বারাকা পতেঙ্গাঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭০ পয়সা।অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় কোম্পানিটির লোকসান ছিল ১ টাকা ৫৭ পয়সা।ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর -ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬ টাকা ২৬ পয়সা।অর্থববছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬ টাকা ৫১ পয়সা।এনার্জি প্যাক পাওয়ারঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৫ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৪ পয়সা।জিবিবি পাওয়ারঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৭ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৫৩ পয়সা।ইন্ট্রকো রিফুয়েলিংঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৯ পয়সা।অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা।পদ্মা অয়েলঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ২৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৮ টাকা ৯২ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৬ টাকা ১৩ পয়সা।তিতাস গ্যাসঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯৩ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ইপিএস হয়েছে ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা।ইউনাইটেড পাওয়ারঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৭১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৮৪ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯ টাকা ৮৫ পয়সা।ডেসকোঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ০৮ পয়সা।অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৯২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২১ পয়সা।খুলনা পাওয়ারঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর -ডিসেম্বর ২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ০৩ পয়সা।তবে অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২৩) কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে। দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ০৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২ টাকা।এদিকে, জ্বালানি খাতের ৫টি কোম্পানি এখন পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। কোম্পানিগুলো হলো- এ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, বিডি ওয়েল্ডিং, লিন্ডে বাংলাদেশ, লুব-রেফ বাংলাদেশ এবং সামিট পাওয়ার লিমিটেড।