দেশের পুঁজিবাজারে নতুন বছর ও সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল রোববার পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। এছাড়া গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের সঙ্গে ৭০ শতাংশ খাতে পতন হয়েছে। ফলে আলোচিত খাতগুলোয় শেয়ারদর বেশি কমেছে।এদিকে গতকাল নামমাত্র শেয়ারদর বেড়েছে দুই খাতের। এর মধ্যে বেশি দর বেড়েছে সিরামিক খাতের শেয়ারে এবং পরের স্থানে ছিল ব্যাংক খাত।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা সিরামিক খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১টির দর বেড়েছে এবং ১টির কমেছে ও ৩টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্যাংক খাতের শেয়ারদর বেড়েছে দশমিক ১০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং বাকি সব কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, আর্থিক এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় আইটি খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ। এরপর দর বেশি কমেছে সেবা ও আবাসন খাতে। এ খাতে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ১ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। ১ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর কমে চতুর্থ স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত।অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১১ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হওয়া প্রকৌশলী খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা কাগজ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা দশমিক ১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৯৫ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা দশমিক ২৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯৩ দশমিক ৬০ পয়েন্টে।ডিএসইতে গতকাল ১৭৮ কোটি ৪১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৬৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৩৪৫ কোটি ৭১ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১৯টির বা ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ১৪৯টির বা ৪৫ দশমিক ১৫ শতাংশের এবং ১৬২টির বা ৪৯ দশমিক ৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৯৬ দশমিক ০৩ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৪০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪২টির আর ৮৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।