বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে উন্নয়নে অংশ নিন
দেশের পুঁজিবাজারের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে এ উন্নয়নে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের পুঁজিবাজার উত্তম জায়গা।গতকাল বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় জাপানের টোকিওতে অবস্থিত এএনএ ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব’ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএসইসি এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এ সময় বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর জিডিপি ও মাথাপিছু আয়ে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। দারিদ্র্য হ্রাস, শিশুমৃত্যু হ্রাস, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় এখানে মূল্যস্ফীতিও কম। বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছে। আমাদের রেমিট্যান্স আয়ও বাড়ছে। পুঁজিবাজারের রিটার্ন ও বাজার মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১২ বছরে বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক মূলধন যুক্ত হয়েছে। সবদিক বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য উত্তম জায়গা।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশগুলোর একটি জাপান। বর্তমানে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ক এক বিশেষ ও ভ্রাতৃত্বের। জাপানের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে নিজের দেশের মতো অনুভূতি পান। তারা কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন না। তিনি আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক-সামাজিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে। তিনি বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ককে আরো জোরদার করার আহ্বান জানান।আরেক বিশেষ অতিথি পররাষ্ট্র সচিব ড. মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশের মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে জাপান প্রত্যক্ষ সহায়তা করেছে। অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগতভাবে সহায়তা করছে জাপান। আগামীতেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে এবং জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদসহ জাপান এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগকারী, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন।