বাংলাদেশ সার্ভিসেসের লোকসান কমেছে

Date: 2023-06-26 17:00:07
বাংলাদেশ সার্ভিসেসের লোকসান কমেছে
দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের লোকসান কমেছে। চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ৬৬ পয়সা। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটি পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার স্বত্বাধিকারী। এছাড়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্বও পালন করছে বাংলাদেশ সার্ভিসেস।গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সার্ভিসেস। প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ১৪ পয়সায়। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩৯ টাকা ৯৮ পয়সায়। শেয়ারপ্রতি লোকসান কমার কারণ হিসেবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, কর-পরবর্তী লোকসান কমে আসার কারণে শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে। অবশ্য এ সময়ে কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসান বেড়েছে, যার কারণে কোম্পানিটির এনএভিপিএস কমেছে।সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১ টাকা ৩৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৮ টাকা ৪৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশের সুপারিশ করেনি বিডি সার্ভিসেসের পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ৭৩ পয়সা। ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিডি সার্ভিসেসের অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯৭ কোটি ৭৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। পুঞ্জীভূত লোকসান হয়েছে ৩ হাজার ১৮৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার ৯১৩। এর মধ্যে ৯৯ দশমিক ৬৮ শতাংশই রয়েছে সরকারের হাতে। বাকি দশমিক ১৯ শতাংশ বিদেশী ও দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২৪ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য আগামী ২৭ ডিসেম্বর এজিএম আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট আগামীকাল।৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪ টাকা ৭৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৭৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়ায় ৬ টাকা ৭৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ২ টাকা ৩ পয়সা। আগের কয়েক হিসাব বছরেও কোনো লভ্যাংশ পাননি কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। সর্বশেষ ২০১৪ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আগের হিসাব বছরেও একই হারে স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।

Share this news