আতঙ্ক ছড়ানো সেল প্রেসারে দাঁড়াতে পারছে না শেয়ারবাজার

সরকার পরিবর্তনের পর চার কর্মদিবস শেয়ারবাজারে বড় পরিবর্তনের হাওয়া দেখা যায়। ওই চার কর্মদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছিল ৭৮৬ পয়েন্ট।এরপরই শেয়ারবাজারের দুষ্টু চক্র খ্যাত সালমান-শিবলীর প্রেতাত্মারা ইতিবাচক শেয়ারবাজারে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে থাকে। প্রতিদিনই তারা লেনদেনের শুরুতেই দিনের সর্বনিম্ন দামে লাখ লাখ শেয়ারের সেল বসিয়ে দিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। যে কারণে লেনদেনের শুরুতেই শতাধিক কোম্পানির শেয়ার ক্রেতাশুন্য হয়ে পড়ে।এতে দেখা যায়, প্রায় প্রতিদিনই বাজার শুরুই হয় নেতিবাচক প্রবণতায়। তারপর ধীরে ধীরে বাজার বড় উত্থানের পথে থাকলেও নানা ধরনের গুজব ও বড় বড় কয়েকটি হাউজ থেকে বড় আকারে সেল প্রেসারের চাপে উত্থানের বাজার পতনের বৃত্তে আটকে যায়।আজ মঙ্গলবারও একইভাবে লেনদেনের শুরুতে শতাধিক কোম্পানির শেয়ার ক্রেতাশুন্য অবস্থায় দেখা যায়। দিনের সর্বনিম্ন সার্কিট ব্রেকারে এসব শেয়ারের লাখ লাখ শেয়ারের সেল অফার দেখা যায়। অথচ এসব সেল প্রেসার কোন কোন হাউজ থেকে আসে, কারা এসব সেল প্রেসার বসিয়ে দেয়, এই নিয়ে গণমাধ্যমে নানা অভিযোগ তোলা হলেও ডিএসই বা নিয়ন্ত্রক সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোন রকম টনক নড়ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তারাও বাজারকে অস্থির করে তুলতে সালমান-শিবলীর প্রেতাত্মাদের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। যে কারণে লেনদেনের শুরুর সেল প্রেসারের তান্ডব প্রতিদিনই চলছে সমানতালে। শুরুতেই আতঙ্ক ছড়ানোর কুচক্রীদের অসৎ তৎপরতা সমানতালে বিরাজমান।বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসইর ছোট-বড় গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা বসে আছেন, তাদের অবিলম্বে সরানো প্রয়োজন। তা না হলে কুচক্রী মহলের অসৎ তৎপরতা কোনভাবেই প্রতিরোধ করা যাবে না। প্রতিদিনই ইতিবাচক বাজার আতঙ্ক ছড়িয়ে টেনে নামাবে। প্রতিদিনই বাজার ছন্দপতন ঘটবে। যা স্থিতিশীল বাজারের জন্য কোনভাবেই সহায়ক নয়।