আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

Date: 2023-11-28 20:00:10
আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন
চলমান রাজনৈতিক সংকটে উত্থান-পতনে চলছে পুঁজিবাজার। সপ্তাহের হিসেবেও অধিকাংশ কার্যদিবসেই লেনদেন শেষ হচ্ছে সূচকের পতনে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবসেই সূচকের দরপতন হয়। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকও কমেছে। একই সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেন কমে ২০০ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে, যা চলতি বছরের ২৮ মার্চের পর বা প্রায় গত আট মাসের মধ্যে এক দিনে সর্বনিম্ন লেনদেন। সেদিন বাজারটিতে লেনদেন হয় ২৭৭ কোটি ০৫ লাখ টাকা।বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এদিন পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক এক পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের ৪০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে পাঁচ পয়েন্ট। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এতে লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক সাত পয়েন্ট বেড়ে যায়।তবে দুপুর ১২টার পর থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দরপতনের মাত্রা। এতে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকটি মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।বাজারে যে কয়টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে, তার মধ্যে ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৬টির। আর ১৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ছয় পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৪৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেন কমে ২০০ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৬৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৭২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর আগে গত ২৮ মার্চ ডিএসইতে ২৭২ কোটি পাঁচ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এরপর বাজারটিতে আর এত কম লেনদেন হয়নি।বাজারটিতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৯৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑজেমিনি সি ফুড, প্যাসিফিক ডেনিমস, ফু-ওয়াং সিরামিক, ইয়াকিন পলিমার, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, এমারেল্ড অয়েল ও ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং।অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ( সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১৬ পয়েন্ট কমেছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৪৯টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩টি কোম্পানির। দাম কমেছে ৫৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টি কোম্পানির। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে চার কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় পাঁচ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

Share this news