আরামিট সিমেন্টের সাতকাহন : এখন শেয়ারটি বেচার না কেনার সময় ?

পুঁজিবাজারে সিমেন্ট খাতে মোট সাতটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- আরামিট সিমেন্ট, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ক্রাউন সিমেন্ট, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, লাফার্জ হোলসিম, মেঘনা সিমেন্ট ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট। শেয়ারবিজনেস২৪ডট কম- তুলে ধরছে আরামিট সিমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স থেকে এই প্রতিবেদনের তথ্য নেওয়া হয়েছে।আরামিট সিমেন্ট :চলতি অর্থবছরের ৩০ এপ্রিল মাস পর্যন্ত এ কোম্পানির ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। এর আগের মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা শেয়ার ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অর্থাৎ আরামিট সিমেন্টের শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বেড়েছে।কোম্পানিটির শেয়ারে বিদেশিদের কোনো বিনিয়োগ নেই।৪৫ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে আরামিট সিমেন্টের উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ও বাকি ৪৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের এ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। মার্কেট লট একটি শেয়ারে।কোম্পানির সর্বশেষ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর। ২০২২ সালে আরামিট সিমেন্ট বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।কোম্পানিটির রিজার্ভ অ্যান্ড সারপ্লাস রয়েছে ২৯ লাখ টাকা। আর রিজার্ভ সমন্বয়ের পর ১০৮ কোটি নতুন করে যোগ হয়েছে রিজার্ভ অ্যান্ড সারপ্লাসে।আরামিট সিমেন্টের স্বল্পমেয়াদী ঋণ রয়েছে ৪২৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণ রয়েছে ১৩১ কোটি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ৩ টাকা ৫০ পয়সা।এ সময়ে কোম্পানির নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৩ টাকা ২৯ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ২৪ পয়সা।৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখে এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ৯৭ পয়সা। যা ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ১২ টাকা ৫৮ পয়সা।বর্তমানে আরামিট সিমেন্টের আরএসআই মান : ৫৬.০৪।আরএসআই’য়ের মাধমে বাজারের overbought ও oversold নির্দেশ করে। এর স্কেলমান ০ হতে ১০০। সাধারণত: ২০ এর নিচে oversold, ৮০ এর উপরে overbought নির্দেশ করে। oversold অবস্থায় বড় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার buy (কেনা) এবং overbought অবস্থায় বড় বিনিয়োগকারীদের sell pressure (বিক্রির চাপ) থাকে (কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও হয়) । যেসকল কোম্পানির শেয়ারের আরএসআই উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে এমন কোম্পানিগুলোতে বিশ্লেষকরা আপাতত বিনিয়োগ না করে ওয়েট অ্যান্ড সি পলিসি অনুসরণ করা উত্তম বলে পরামর্শ দেন। এতে করে পুঁজি নিরাপদ থাকবে।গত বৃহস্পতিবার আরামিট সিমেন্টের শেয়ার দর ৩০ পয়সা বেড়ে সর্বশেষ লেনদেন হয় ২৪ টাকা ৪০ পয়সায়। গত এক বছরে এ শেয়ারের দর ২১ টাকা থেকে ৩৪ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়।