আন্তর্জাতিক হিসাব মানলে ৪০% সম্পদ কমে যাবে ব্যাংকের
![আন্তর্জাতিক হিসাব মানলে ৪০% সম্পদ কমে যাবে ব্যাংকের](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/6096/image.jpeg)
দেশে কোনো ব্যাংক আর্থিক বিবরণী তৈরির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক হিসাব মান বা ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যানশিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (আইএফআরএস) মানে না। এ কারণে ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্যের প্রকৃত চিত্র আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে আসে না। আইএফআরএস অনুসরণ করা হলে ব্যাংকগুলোর ৪০ শতাংশ সম্পদ কমে যাবে।গতকাল সোমবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টকে এ কথা বলেন ফিন্যানশিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আইএফআরএস বাস্তবায়ন করা হোক, তাহলে ব্যাংকের প্রকৃত আর্থিক তথ্য আর্থিক বিবরণীতে উঠে আসবে।’ রাজধানীর পল্টনে সিএমজেএফ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জিয়াউর রহমান।পুঁজিবাজারে কারসাজি হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। অনেক সময় কিছু কম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে, অথচ তাদের কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। আবার অনেক সময় মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন থাকে। তাই কম্পানিগুলোর মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের সত্যতা যাচাই করা খুব জরুরি।এফআরসি চেয়ারম্যান জানান, তালিকাভুক্ত কম্পানির আর্থিক বিবরণী নিরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নিরীক্ষকদের নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে। এর পর থেকে এফআরসিতে অনিবন্ধিত কোনো নিরীক্ষক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কম্পানির নিরীক্ষা করতে পারবে না।এফআরসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, কোনো কম্পানির রাজস্ব ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি হলে সেই কম্পানি জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট কম্পানি হিসেবে বিবেচিত হবে। দেশে এ ধরনের প্রায় তিন হাজার ৪০০ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর বাইরে আড়াই হাজার ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলোও এফআরসির আওতায় আসবে।মো. হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘শেয়ারবাজারের উন্নয়নে কাজ করাই ছিল এফআরসি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য। আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমি কাজ করতে গিয়ে অনুধাবন করেছি, দেশের শেয়ারবাজার ভালো করতে হলে বড় কম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত করতে হবে।’ আমাদের শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অ্যাক্টিভ নন। তাঁরা মূলত শেয়ার ব্যবসা করেন। তাঁদের আরো অ্যাক্টিভ হওয়া দরকার বলে মনে করেন এফআরসি চেয়ারম্যান।মো. হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কম্পানি তদারকিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। আর্থিক বিধিমালা চূড়ান্ত হলে কম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন তৈরিতে জালিয়াতি অনেকটাই কমে আসবে।কেউ অনিয়মের আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মে মাসের মধ্যেই অডিটরদের এফআরসিতে নিবন্ধিত হতে হবে। না হলে তারা পাবলিক লিস্টেড কম্পানিসহ জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে অডিট করতে পারবে না।