আইটি খাতে শেয়ার কেনার চাপ
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল কিছুটা কমার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তবে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক বেড়েছে। এদিন ডিএসইর সব সূচক কমেছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল আইটি খাতের শেয়ারে। এদিন খাতটিতে উত্থান হয়েছে; ফলে খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ার। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল সেবা ও আবাসন এবং বিবিধ খাত। অন্যদিকে গতকাল পাট খাতের শেয়ারদর কমেছে সবচেয়ে বেশি।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আইটি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৭টির দর বেড়েছে এবং ৩টি বাদে বাকি কোম্পানির শেয়ারের দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাগজ খাতে দর বেড়েছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১টির দর বেড়েছে এবং ৩টির কমেছে ও ২টির অপরিবর্তিত ছিল। দশমিক ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সেবা খাত তৃতীয় স্থানে ছিল। এ খাতে লেনদেনে ৪টি কোম্পানির মধ্যে ২টি দর বেড়েছে এবং ২টির অপরিবর্তিত ছিল। চতুর্থ স্থানে থাকা বিবিধ খাতে দর বেড়েছে দশমিক ৩০ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, আর্থিক, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং জীবন বিমা খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ শতাংশ। এরপর দর বেশি কমেছে সিরামিক খাতের শেয়ারে। খাতটিতে দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে তৃতীয় স্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাত। অপরদিকে লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা জীবন বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া জীবন বিমা খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বা দশমিক ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৯২ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫২ দশমিক ১৮ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯১ দশমিক ৫০ পয়েন্টে।ডিএসইতে ২৮৪ কোটি ২০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে; যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৩১৮ কোটি ০১ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৪০টির বা ১২ দশমিক ১২ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ১২২টির বা ৩৬ দশমিক ৯৯ শতাংশের এবং ১৬৮টির বা ৫০ দশমিক ৯১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।অপর পুঁজিবাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩১২ দশমিক ৬১ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৪৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪০টির আর ৮১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।