আইওএসকো-এর সম্মেলন ফেব্রুয়ারিতে
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনসের (আইওএসকো) সম্মেলন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৬ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে সংস্থাটির এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কমিটি এবং ইউরোপিয়ান রিজিওনাল কমিটি অংশ নেবে।মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় আইওএসকোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশের মর্যাদা আরও বাড়বে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের সুনাম ও ভাবমূর্তি আরও বাড়বে।উল্লেখ, চলতি বছরের আগস্টে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রাবাইয়াত-উল-ইসলাম আইওএসকোর এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ২০২২-২৪ সাল সময়ে উক্ত পদে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য এ ধরনের অর্জন প্রথম।চলতি মাসেই মরক্কোয় অনুষ্ঠিত আইওএসকোর বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) যোগ দিয়ে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই সময় ঢাকায় আইওএসকোর আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।তথ্য মতে, ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর আইওএসকোর মানদণ্ডের ভিত্তিতে দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ‘বি’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়। এ জন্য এমএমওইউ সাক্ষরকারী হওয়ার জন্য বিএসইসির আবেদন অনুমোদন করেছে আইওএসসিও। এতে দেশের পুঁজিবাজার অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছেছে। ফলে বিএসইসি আন্তর্জাতিকভাবে এনফোর্সমেন্টের সহযোগিতা পাওয়া ও দেওয়া, বিএসইসি আইওএসকোর বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় পদে নিয়োগ ও নির্বাচনের সুযোগ লাভ এবং বিএসইসি আইওএসকোর নীতিনির্ধারণী কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির যোগ্যতা অর্জন করে।আইওএসকো প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। এর প্রধান কার্যালয় স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৫২। সংস্থাটির প্রধান কাজ হচ্ছে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, ক্যাপাসিটি বাড়ানো, আন্তর্জাতিক মান প্রণয়ন, মনিটরিং ইত্যাদি।