সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে উঠে এসেছে সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দিক থেকে গতকাল দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাত। গতকাল শেয়ারদর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল সিমেন এবং ওষুধ ও রসায়ন খাত। এদিকে গতকাল মিউচুয়াল ফান্ড, আর্থিক, ব্যাংক, সাধারণ বিমা এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের শেয়ারদর কমা বা বৃদ্ধির কোনো পরিবর্তন হয়নি।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা সেবা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩টি কোম্পানির এবং ১টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাট খাতে গতকাল দর বেড়েছে দশমিক ৪০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১টির শেয়ারদর বেড়েছে এবং বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।গতকাল দর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা সিমেন্ট খাতে দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। আলোচ্য খাতে গতকাল ৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১টি দর কমেছে এবং বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দশমিক ৫০ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে গতকাল চতুর্থ স্থানে ছিল ওষুধ খাতের শেয়ার। খাতটিতে গতকাল মোট ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ১টি ছাড়া বাকিগুলোর শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ খাতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া প্রকৌশল খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। গতকাল চতুর্থ স্থানে থাকা জীবন কাগজ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৩৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২০৭ দশমিক ২৩ পয়েন্টে। তবে শরিয়াহ সূচক দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে।ডিএসইতে গতকাল ৩১১ কোটি ৩২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে; যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ২৭১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার। গতকাল ডিএসইতে ৩১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৪৩টির বা ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ২৮টির বা ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশের এবং ২৪১টির বা ৭৭ দশমিক ২৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৫১ দশমিক ৭২ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ১১৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৩টির আর ৬৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।