আগ্রহ বেশি সিমেন্ট খাতে

Date: 2023-03-28 17:00:18
আগ্রহ বেশি সিমেন্ট খাতে
দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক কমার মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমে আবার ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। তবে আগের দিন সূচক কমলে লেনদেন বেড়ে ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল সিমেন্ট খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষ স্থানে ছিল। অপরদিকে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সিমেন্ট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১টির দর বেড়েছে এবং ৩টির দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ১০ শতাংশ দর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাতের শেয়ার। খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বস্ত্র এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় কাগজ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। এরপরের স্থানে থাকা পাট খাতে শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ দর কমে চতুর্থ স্থানে ছিল সিরামিক খাতের শেয়ার।অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয় বেশি লেনদেন হয়েছে ভ্রমণ খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হওয়া জীবন বিমা খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ২৭৭ কোটি ৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৯৩ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৭০ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৪ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২১০ দশমিক ৭০ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৪৫ দশমিক ৬২ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২৮টি এবং কমেছে ৫৬টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২০১টির।অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ৭ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১০১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৯টি, কমেছে ৩৪টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৪৮টির।এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪৬ দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৭৯ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ৩ দশমিক ৮১ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৫ দশমিক ৫১ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ২৮ দশমিক ১৪ পয়েন্ট ও সিএসআই ৬ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৪ দশমিক ১৮ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৩৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৫৮ দশমিক ২৩ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৪৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে।

Share this news