৫০ শতাংশ লেনদেনেও বিমুখ বিনিয়োগকারীরা
![৫০ শতাংশ লেনদেনেও বিমুখ বিনিয়োগকারীরা](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/4249/DSE.jpg)
নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে সূচক কমার মাধ্যমে লেনদেন শেষ করেছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহে সূচকের সঙ্গে গড় লেনদেন কমেছে এবং লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। আলোচিত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) গড় লেনদেন প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ কমেছে; তবে মোট লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ওষুধ ও রসায়নসহ আইটি, প্রকৌশলী এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে, যা টাকার অঙ্কে ৫৬৮ কোটি টাকা। এরপরও খাতগুলোয় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তুলনামূলক কম ছিল। এ কারণে আলোচ্য খাতগুলোয় শেয়ারদর কমেছে।এদিকে লেনদেন কম হলেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল বিমা খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে পাট খাতে।সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ওষুধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ বা ২৫৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু খাতটিতে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। তৃতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ১১ শতাংশ বা ১২৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে এ খাতে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বা ১০৮ কোটি টাকার লেনদেন হওয়া প্রকৌশলী খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে। এ খাতে দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। জ্বালানি খাতে গত সপ্তাহে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ৭৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কিন্তু এ খাতে দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।এদিকে গত সপ্তাহে লেনদেন শেষে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বেড়েছে ভ্রমণ খাতে। খাতটিতে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এর বিপরীতে খাতটিতে ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ বা ৭৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ। খাতটিতে লেনদেন হয়েছে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ বা ১৩০ কোটি টাকা। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ব্যাংক এবং কাগজ ও মুদ্রণ খাত। খাত দুটিতে গত সপ্তাহে মোট ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ বা ১১৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে পাট খাতে ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ দর কমেছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসই এক হাজার ১৩২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫১ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৭২ কোটি ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেনে ৬০ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ২৪৩ টাকা বেড়েছে।সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা দশমিক ২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৯৩ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪১ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫৩ দশমিক ২৮ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯৩ দশমিক ৪০ পয়েন্টে।ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৮২টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪টির বা ১১ দশমিক ৫২ শতাংশের, কমেছে ১৩৩টির বা ৩৪ দশমিক ৮২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৫টির বা ৫৩ দশমিক ৬৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর।অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩ টাকার। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৯৮ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৩টির বা ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ৯০টির বা ৩২ দশমিক ০৩ শতাংশের কমেছে এবং ১৫৮টির বা ৫৬ দশমিক ২৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।