৩ মাসে এক শেয়ারে দর বেড়েছে ২৬৮ টাকা, অপরটির ১১ কর্মদিনে ৫০ টাকা!

Date: 2023-04-03 01:00:14
৩ মাসে এক শেয়ারে দর বেড়েছে ২৬৮ টাকা, অপরটির ১১ কর্মদিনে ৫০ টাকা!
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির শেয়ার দর কোনো কারণ ছাড়াই বুলেট গতিতে বাড়ছে। কোম্পানি দুটি হলো- লিগ্যাছি ফুটওয়ার ও জেমিনি সী ফুড লিমিটেড।অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ার কারণে কোম্পানি দুটির শেয়ারে বিনিয়োগে সতর্কবার্তা দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর পরও দর বাড়া না থামায় বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, যেকোনো সময় এই শেয়ার দুটির দরে ধস নামতে পারে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ মার্চ লিগ্যাছি ফুটওয়্যারের শেয়ারদর ছিল ৩৯ টাকা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৯ টাকা ৮০ পয়সায়। এতে দেখা যায়, মাত্র ১১ কর্মদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫০ টাকা ৮০ পয়সা বা ১৩০ শতাংশের বেশি।চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ০৪ পয়সা।সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি ‘নো ডিভিডেন্ড’ দিয়েছে। তার আগের বছর ২০২১ সালে ১ শতাংশ ক্যাশ লভ্যাংশ দিয়েছে।কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে মাইনাস ২৩ লাখ টাকা।অন্যদিকে জেমিনি সী ফুডের গত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে শেয়ারদর ছিল ৩৪১ টাকা ৭০ পয়সা। তিন মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৬৮ টাকা ৬০ পয়সা বা ১১১ শতাংশের বেশি। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬১০ টাকা ৩০ পয়সায়।চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৯৪ পয়সা। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক মুনাফা নিয়েও অনেক বিতর্ক রয়েছে। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক মুনাফার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১৮ পয়সা।সর্বশেষ কোম্পানিটি ২০২২ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৩০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। তার আগের বছর ২০২১ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৬ কোটি ১০ লাখ ৫২ হাজার টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। নেগেটিভ বা মাইনাস ২৩ লাখ টাকা।

Share this news