২০২৩ সালে বীমা খাতের শেয়ার দ্বিতীয় সেরা পারফরমার

২০২৩ সালে শেয়াবাজারে দ্বিতীয় সেরা পারফরমার হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে বীমা খাতের শেয়ার। এই খাতের শেয়ার বিনিয়োগকারীদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রিটার্ন দিয়েছে। ইবিএল সিকিউরিটিজের বার্ষিক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।অন্যদিকে, ২০২৩ সালে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মৌলভিত্তির বড় মূলধনী কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের কার্যত কোন রিটার্ন দেয়নি। আর ব্যাংকিং, তথ্যপ্রযুক্তি ও টেক্সটাইল খাতের শেয়ার ছিল সবচেয়ে কম পারফরমার।আলোচ্য বছরে শেয়ারবাজারের সাধারণ বীমা এবং জীবন বীমার বাজার মূল্যে যথাক্রমে ১০ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরেও সাধারণ বীমা ও জীবন বীমার শেয়ার স্থিতিশীলতার সঙ্গে সামনে এগুচ্ছে।একটি শীর্ষ স্থানীয় ব্রোকারেজ হাউজের পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেছেন, সরকার সব ধরণের যানবাহনের জন্য বীমা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করার প্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের সাধারণ বীমার শেয়ারগুলোর প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। যার ফলে এই খাতের শেয়ার থেমে থেমে হলেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে। এছাড়া, বড় বড় ভবন ও কৃষি খাতের পণ্য বীমা শিল্পের আওতায় আনার উদ্যোগও এই খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের টানতে ভূমিকা রাখেছে।গত বছর বিমা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমাবিহীন কোনো যানবাহন যাতে রাস্তায় না চলে তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। পরে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ সংশোধনের উদ্যোগ নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।এদিকে, বাংলাদেশে ব্যবসার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং একই সাথে দুর্ঘটনা, বিপদ, অগ্নিকাণ্ড এবং চুরির মতো ব্যবসার ঝুঁকিও বাড়বে। ব্যবসার ঝুঁকি কমাতে বীমা কভারেজের চাহিদা অত্যন্ত প্রয়োজন।প্রসঙ্গত, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিগুলির ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা এবং সর্বাধিক ৬০ শতাংশ স্পনসর শেয়ারহোল্ডিং থাকতে হবে। স্থানীয় বীমা কোম্পানিগুলিকে অন্তর্ভুক্তির তিন বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে।