২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দরে গ্রামীণফোনের শেয়ার

Date: 2024-03-19 06:00:10
২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দরে গ্রামীণফোনের শেয়ার
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারদরের নিম্নসীমা) নির্ধারিত রেকর্ড ডেট শেষে গত রোববার উঠেছে। ওইদিনই বড় ধরনের দরপতন দিয়ে কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়। এর পর ধারাবাহিকভাবে কমছে গ্রামীণফোনের শেয়ার দর। আজ মঙ্গলবারও সকাল সোয়া দশটার দিকে এ শেয়ারটির দর আড়াই টাকা কমে ২৪১ টাকায় লেনদেন হয়। দুই বছর আগে এ শেয়ারের দর সর্বনিম্ন ২৪৩ টাকায় নেমেছিল।গত ৬ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসারে কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হয়।ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি কোম্পানি বাদে বাকি সব সিকিউরিটিজের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর গত ২২ জানুয়ারি নতুন করে আরো ২৩ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। তৃতীয় দফায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি আরো ছয় কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। এখন কেবল বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ারের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস বহাল আছে। এছাড়া বিএটিবিসি ও রবি আজিয়াটার আসন্ন রেকর্ড ডেট পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকবে। বিএসইসির নতুন আদেশে বলা হয়েছে, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমার বিষয়ে ২০২১ সালের ১৭ জুন জারি করা কমিশনের আদেশ কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে শেয়ারদর ২০০ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। শেয়ারদর ২০০ টাকার ওপর হলে এবং ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার থাকবে। ৫০০ টাকার বেশি ও ১ হাজার টাকা পর্যন্ত শেয়ারদর থাকলে সেক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। শেয়ারদর ১ হাজার টাকার বেশি ও ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে। শেয়ারদর ২ হাজার টাকার ওপরে থাকলে ও ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার হবে ৫ শতাংশ। আর শেয়ারদর ৫ হাজার টাকার বেশি হলে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রেও স্ল্যাবভিত্তিক এ সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে।সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে গ্রামীণফোন। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ৪৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২২ টাকা ২৯ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৩৯ পয়াসয়, আগের হিসাব বছর শেষে ছিল ৩৪ টাকা ২২ পয়সা।ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২ মে সকাল সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে।সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে গ্রামীণফোন। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ও ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ টাকা ২৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৫ টাকা ২৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ২২ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৬ টাকা ৯৪ পয়সা।২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের অনুমোদিত মূলধন ৪ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল একই ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সা।

Share this news