১৮ কোম্পানির শেয়ার কিনছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা

Date: 2023-01-21 16:00:12
১৮ কোম্পানির শেয়ার কিনছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা
লেনদেনে স্থবিরতার কারণে গত ডিসেম্বরে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি শেয়ার ধারণে বড় তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। সংশ্নিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় কমপক্ষে ১ শতাংশীয় পয়েন্ট প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ১৯ কোম্পানি থেকে, বেড়েছে ১৮টিতে। এ ছাড়া ১১ কোম্পানি থেকে বিদেশিদের শেয়ার কমেছে এবং বেড়েছে ১৩টিতে।ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে বর্তমানে তালিকাভুক্ত শেয়ার ৩৫৪টি এবং মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড ৩৬টি। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০টি শেয়ার বাদে সবগুলোর শেয়ারহোল্ডার ভেদে ডিসেম্বরভিত্তিক শেয়ার ধারণের হারের তথ্য মিলেছে। ডিএসইর তথ্য পর্যালোচনায় এ চিত্র মিলেছে।আইসিবি, ন্যাশনাল টি এবং সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের বিক্রি করা শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্টে যাওয়া বাদ দিলে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। গত নভেম্বর শেষেও বীমা কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ছিল মোটের ১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ২৪ দশমিক ৩৫ শতাংশে উঠেছে। টাকার অঙ্কে বৃদ্ধি পাওয়া প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল প্রায় ১৮ কোটি টাকা।এ ছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশনে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ৪ দশমিক ৪২ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে এবং জেমিনি সি ফুডের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়ে ৮ দশমিক ২১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একইভাবে সংশ্নিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ২ শতাংশের ওপর বেড়েছে ইন্ট্রাকো সিএনজি, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মো প্লাস্টিক, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এবং বিজিআইসির।সংশ্নিষ্টরা জানান, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা টানাপোড়েনের কারণে শেয়ারে বিনিয়োগ কমেছে। অনেক বিনিয়োগকারী বড় অঙ্কের লোকসানে। শেয়ার কেনাবেচার আগ্রহ হারিয়েছেন অনেকে। তবে সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি করে আছে ফ্লোর প্রাইস। এর কারণে বাজারে বড় ক্রেতা সংকট তৈরি হয়েছে। বাজারের নামিদামি শেয়ারের প্রায় সবই এখনও ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে। ক্রেতা না পাওয়ায় চাইলেও অনেকে শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। এ কারণে শেয়ার ধারণে ধরনেরও বড় কোনো পরিবর্তন নেই।প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার: গেল ডিসেম্বরে এডভেন্ট ফার্মা থেকে সবচেয়ে বেশি (৭ দশমিক ২৪ শতাংশ) প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে। নভেম্বর শেষেও কোম্পানিটির ৯ কোটি ৩১ লাখ শেয়ারের ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের, যা গত ডিসেম্বর শেষে ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে নেমেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্ট থেকে কমে এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল প্রায় ১৭ কোটি টাকা।দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশীয় পয়েন্ট প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে। গত নভেম্বর শেষে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১৯ দশমিক ৮২ শতাংশ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের। ডিসেম্বর শেষে যা ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশে নেমেছে। কমে যাওয়া শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল প্রায় ১০ কোটি টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে আমরা নেটওয়ার্কস থেকে। ডিসেম্বরে এ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারের পরিমাণ ৩৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ থেকে ৩২ শতাংশে নেমেছে। এ ছাড়া লিবরা ইনফিউশনসে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে মোট শেয়ার বিবেচনায় প্রায় ৫ শতাংশ।এর বাইরে সংশ্নিষ্ট কোম্পানির শেয়ার বিবেচনায় প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে (১ থেকে ৩ শতাংশ) আমরা টেকনোলজিস, মুন্নু এগ্রো মেশিনারিজ, বিডি অটোকার, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, সিমটেক্স, ই-জেনারেশন, জেনেক্স ইনফোসিস, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, এএফসি এগ্রো, চার্টার্ড লাইফ, আজিজ পাইপস, রেনউয়িক যজ্ঞেশ্বর, নাভানা ফার্মা, ফারইস্ট লাইফ ও এপেক্স ফুডসের।এদিকে বিদেশি বা প্রবাসী বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্ট থেকে গেল ডিসেম্বরে শেয়ার হ্রাস-বৃদ্ধির হার বেশ কম ছিল। সবচেয়ে বেশি শেয়ার কমেছে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে। ব্যাংকটি থেকে বিদেশিদের শেয়ার কমেছে ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার, যা মোট শেয়ারের শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ শেয়ারের পুরোটা গেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী অ্যাকাউন্টে। বিদেশি বা প্রবাসীদের অ্যাকাউন্টে ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ার বেড়েছে ৩৭ লাখ ৫৫ হাজার। নভেম্বরে যেখানে ব্যাংকটির মোট শেয়ারে এদের হিস্যা ছিল শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ, ডিসেম্বরে শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

Share this news