১০ টাকার শেয়ারে ২০ টাকার বেশি দায় এমারেন্ড অয়েলের
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত বছর পুনরায় উৎপাদন শুরু করা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমারেন্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সিকিউরিটিজ আইন অনুসারে ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে জমা দেয়নি। এজন্য কোম্পানিটির কাছে কারণ জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর মাধ্যমে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এমারেন্ড অয়েল। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা।৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৫৭ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে এ দায় ছিল ১৯ টাকা ৪৩ পয়সা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য কোন ডিভিডেন্ডের সুপারিশ করেনি কোম্পানিটির পর্ষদ।২০১১ সালে স্পন্দন ব্র্যান্ডের রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদন শুরুর মাধ্যমে ব্যবসায় নেমেছিল এমারেন্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ। তিন বছরের মাথায় ২০১৪ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি। এর এক বছরের মধ্যেই বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় জড়িয়ে পড়েন কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা। জামিন নিয়ে উদ্যোক্তারা বিদেশ পালিয়ে গেলে ক্ষতির মুখে পড়েন কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত বছরের ৯ জানুয়ারি আবারো বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ। তবে এ সময়ের কোনো অগ্রগতি কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জানায়নি।বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন রয়েছে ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৫৯ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।